🎒 নতুন পোশাকে খুশির রঙ: এক সকালে শিশুহাসির গল্প

সকালটা যেন স্বপ্নে মোড়ানো এক বিশেষ দিন। সূর্যের কিরণ নরম হয়ে নেমে এসেছে স্কুলের উঠোনে, আর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একঝাঁক ছোট্ট মুখ—তাদের চোখে দীপ্তি, মুখে চাপা উচ্ছ্বাস। কারণ আজ তাদের জন্য রয়েছে এক চমকপ্রদ উপহার—নতুন স্কুল ড্রেস।

রাবেয়া রশিদ মিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্ট পরিচালিত এই ছোট্ট প্রি-প্রাইমারি বিদ্যালয়টি শুধুই পাঠ্যবই শেখানোর জায়গা নয়, এটি একধরনের ভালোবাসা ও মানবিকতার পাঠশালা, যেখানে শিশুরা শেখে কেবল অক্ষর নয়—শেখে আত্মমর্যাদা, সম্মান ও মানবিকতা।

আজকের এই বিশেষ দিনটির পেছনে ছিলেন আমাদের প্রিয় ট্রাস্টি সদস্য, ডা. রাকিবা করিম ম্যাম—একজন স্নেহশীলা, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ। তাঁর সদয় অর্থায়নে আজ প্রতিটি শিক্ষার্থী পেয়েছে একরঙা নতুন পোশাক—যা শুধু জামা নয়, তাদের আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।

👨‍👩‍👧‍👦 অভিভাবকদের কণ্ঠে ছিল অনুভূতির ছোঁয়া:

“ড্রেসটা শুধু জামা নয়, এ যেন সম্মান, এ যেন স্বপ্ন পূরণের শুরু।”

শিশুরা যখন নতুন পোশাক পরে শ্রেণিকক্ষে বসে, তখন তাদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল এক অদ্ভুত উজ্জ্বলতা—যা বলে দেয়, তারা প্রস্তুত নতুনভাবে কিছু শেখার, নিজেকে গড়ার, বড় হওয়ার পথে এগিয়ে চলার।

ডা. রাকিবার এই অবদান নিঃসন্দেহে ছিল নিঃস্বার্থ, হৃদয়ভরা মমতায় মোড়ানো এক আলোর রেখা—যা হয়তো উচ্চকণ্ঠে কিছু বলে না, কিন্তু সমাজের প্রতিটি শিশুকে নীরবে বলে দেয়: “তোমার পেছনে কেউ আছেন, যিনি নিঃস্বার্থ ভালোবাসেন।”

রাবেয়া রশিদ মিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমরা ডা. রাকিবা করিম ম্যামকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আমাদের বিশ্বাস, এমন প্রতিটি ছোট পদক্ষেপই তৈরি করে বড় স্বপ্নের ভিত্তি। আর সেই স্বপ্নই একদিন আমাদের শিশুদের পৌঁছে দেবে আলোর ঠিকানায়।